ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন (২০২৫)

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম? What are the correct rules for uploading videos to YouTube?

হ্যালো’ আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন।

আজকের এই আর্টিকেলটির টাইটেল দেখেই আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে এই আর্টিকেলটি কি বিষয়ের উপর তৈরি করা হয়েছে।

আপনারা যারা ছোট ছোট ইউটিউবার রয়েছেন, তারা হয়তো জানেন না যে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো কি কি এ সম্পর্কে।

আজকের এই আর্টিকেলে মূলত আপনাদেরকে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পরতে পারেন। তাহলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

তাই আপনারা যদি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম জেনে নিন 

আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে যখন ইউটিউব ছিল না তখন সাধারণ মানুষ বন্ধু বা পরিবারের সাথে ভিডিও শেয়ার করার মতো কোনো রকম প্লাটফর্ম ছিল না।

তবে ২০০৫ সালের পর থেকে youtube প্রতিষ্ঠা করার পর সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটের সাহায্যে অতি সহজেই নিজের তৈরি করা ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে বিশ্বের সকল মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারে।

আর বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা অনেক সহজ একটি কাজ। তবে শুধু সাধারণ মানুষ বন্ধু বা পরিবার এর সাথে ভিডিও শেয়ার করা নয়।

বরং ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে বর্তমানে অনেকেই মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে।

তবে আপনিও যদি ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাদের একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রয়োজন হবে।

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রয়োজন হয় এটি আমরা কম বেশি সবাই জানি, তবে আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করা যায়।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যেমন: YouTube Monetization, Affiliate Marketing, Sponsorship ইত্যাদি।

এর মধ্যে প্রায় অধিকাংশ ইউটিউব চ্যানেল YouTube Monetization এর সাহায্যে তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতেছে।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম

বর্তমান ছোট ছোট কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে, আর সেই ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে আপলোড করতে হয়।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এবং কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলে ভিউস বেশি পাওয়া যাবে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম (২০২৫)

মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাদের প্রথমে একটি অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হবে। আর সেই এপ্লিকেশনটির নাম হলো (YouTube Studio)

মনে রাখবেন এই অ্যাপ্লিকেশনটি শুধু ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্যই নয় বরং এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সব কিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন।

অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করার সাথে সাথেই আপনাদের স্ক্রিনে আপনাদের স্মার্টফোনে যতগুলো (Gmail) লগইন করা আছে সবগুলো জিমেইল দেখাবে।

সেখান থেকে আপনারা আপনাদের ইউটিউব চ্যানেলটি যেই জিমেইলে রয়েছে সেই জিমেইলটি সিলেক্ট করে নিবেন।

জিমেইলটি সিলেক্ট করার পর আপনাদের সামনে (Get Start) নামক একটি অপশন চলে আসবে আপনারা সেই অপশনে ক্লিক করে দিবেন।

ক্লিক করার সাথে সাথেই এপ্লিকেশনটি ওপেন হয়ে যাবে, অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন হওয়ার পর (dashboard) অপশন থেকে আপনাদের চ্যানেলের সকল তথ্য নিতে পারবেন। যেমন: ভিডিওর ভিউস, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদি।

এরপর ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনারা অ্যাপ্লিকেশনটির উপরের দিকে (Plus) আইকন পেয়ে যাবেন, আপনাদেরকে সেই আইকনটিতে ক্লিক করতে হবে।

ক্লিক করার পর আপনাদের মোবাইলের গ্যালারি ওপেন হয়ে যাবে, আপনারা যেই ভিডিওটি আপলোড করতে চান সেই ভিডিওটি সেখান থেকে সিলেক্ট করে নিবেন।

ভিডিওটি সিলেক্ট করে নেওয়ার সাথে সাথেই আপনাদের সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস চলে আসবে।

এই ইন্টারফেসে আসার পর আপনারা অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন সেখান থেকে (Visibility) অপশনে ক্লিক করে দিবেন।

ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস চলে আসবে, এই ইন্টারফেসে আসার পর আপনাদেরকে (Private) অপশনটি সিলেক্ট করে নিতে হবে।

(Private) অপশনটি সিলেক্ট করে নেওয়ার পর আপনাদেরকে ব্যাকে চলে যেতে হবে। সেখান থেকে ব্যাক করার পর আপনারা চাইলে আপনাদের ভিডিওর (Tamil) লাগাতে পারেন।

(Tamil) লাগানোর জন্য ভিডিওর বামদিকে উপরে থাকা কলাম আইকনটিতে আপনাদের ক্লিক করতে হবে।

ক্লিক করার পর আপনাদের স্মার্টফোনের (Gallery) নামক অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন হয়ে যাবে সেখান থেকে আপনারা আপনাদের বানানো (Tamil) টি অ্যাড করে নিবেন।

ভিডিও আপলোড করার সঠিক সময়

অবশ্যই মনে রাখবেন: আপনারা আপনাদের ভিডিওতে যে (Tamil) ব্যবহার করবেন, সেই (Tamil) টি অবশ্যই 2 Megabyte এর ভিতরে থাকতে হব।

এরপর আপনাদেরকে ভিডিওর টাইটেল দিতে হবে, টাইটেল দেওয়ার জন্য (Create a title) অপশনে আপনাদেরকে ক্লিক করে ভিডিওর টাইটেল দিতে হবে।

অবশ্যই মনে রাখবেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাইটেল দেওয়ার জন্যই আপনাদের ভিডিওতে (corporate claim) আসতে পারে। তাই এই টাইটেল সম্পর্কে আপনাদেরকে নিচে একটি স্টেপে জানিয়ে দেবো।

টাইটেল দেওয়ার পর নিচে আপনারা (Add Description) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন, সেই অপশনে আপনাদের ভিডিওর Description লিখতে হবে।

(Title)এর পর ডিসক্রিপশন অপশনে আপনারা যত খুশি তত লেখা লিখতে পারেন, তবে সেগুলো ভিডিও রিলেটেড ও অবশ্যই ইনফরমেটিভ হতে হবে।

টাইটেল ও ডেসক্রিপশন এর লেখার ভিতরে অবশ্যই মিল রাখতে হবে। এর মাধ্যমে ভিডিও রিস আপ হবে।

ডেসক্রিপশন বক্সে আপনারা আপনাদের ফেসবুক আইডির লিংক, ইনস্টাগ্রাম লিংক, ইমেইল আইডি এবং আপনাদের কোন নতুন চ্যানেল অথবা পেজ থাকলে সেগুলো দিতে পারেন।

ডিসক্রিপশন লেখার পর আপনারা আবার ব্যাক করে চলে আসবেন, ব্যাক করে আসার পর আপনারা একটু নিচে (Location) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

আপনাদের ভিডিওটি যদি কোন একটি লোকেশন এর উপর টার্গেট করে আপলোড করতে চান, তাহলে আপনারা লোকেশন অপশনে ক্লিক করে সেই লোকেশনটি সিলেক্ট করে দিবেন।

লোকেশন সিলেক্ট করার পর তার নিচে আপনারা (Add to playlists) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন, আপনারা সেই অপশনে ক্লিক করে আপনাদের playlist থাকলে সেটি সিলেক্ট করে দিবেন।

এরপর আপনারা একদম নিচে চলে যাবেন, নিচে যাওয়ার পর আপনারা comments নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন।

কমেন্টস নামক সেই অপশনটি যদি আপনারা অন করে রাখেন, তাহলে আপনাদের ভিডিওতে আপনাদেরকে (viewer) কমেন্ট করতে পারবে, আর যদি অফ করে রাখেন তাহলে কমেন্ট করতে পারবে না।

ভিডিও আপলোড করার সহজ পদ্ধতি

এখন আপনাদের ভিডিওর সকল ইনফরমেশন কমপ্লিট, এরপরেও আপনারা চাইলে আপনাদের ইনফরমেশন গুলো চেক করে দেখতে পারেন।

ভালো করে চেক করার পর, ডান পাশ থেকে উপরের দিকে (Next) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন আপনাদেরকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

(Next) অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনাদের সামনে (select audience) নামক একটি ইন্টারফেস শো করবে।

(select audience) অপশনটির কাজ হল, আপনাদের তৈরি করা কনটেন্ট টি যদি বাচ্চাদেরকে উদ্দেশ্য করে বানানো হয় তাহলে আপনাদেরকে (Yes, it’s made for kids) অপশনটি সিলেট করতে হবে।

আর যদি আপনাদের কনটেন্ট টি নরমাল একটি কন্টেন্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনাদেরকে (No it’s not made for kids) অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

এরপর আপনারা নিচে Age restriction (advanced) নামক একটি ক্যাটাগরি লিখতে পারবেন, আপনাদেরকে সেই ক্যাটাগরিতে ক্লিক করতে হবে।

আপনার কন্টেনটি যদি ১৮+ কনটেন্ট হয়ে থাকে তাহলে (Yes) সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি ১৮+ কনটেন্ট না হয় তাহলে (No) সিলেক্ট করে দিবেন।

সিলেক্ট করার পর নিচের দিকে (upload video) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন, আপনাদেরকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

(upload video) নামক অপশনটিতে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনাদের ভিডিওটি আপলোড হওয়া শুরু হয়ে যাবে।

আপনাদের নেটওয়ার্ক ফাস্ট থাকলে ভিডিওটি তাড়াতাড়ি আপনাদের চ্যানেলে আপলোড হয়ে যাবে। আর যদি নেটওয়ার্ক একটু স্লো থাকে তাহলে ভিডিওর (quality) অনুযায়ী সময় একটু বেশি লাগতে পারে।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সহজ নিয়মাবলী:

এখন আপনাদের একটি প্রশ্ন থাকতে পারে, যে আমরা (set visibility) অপশন থেকে (private) কেন সিলেক্ট করেছি? (Private) সিলেক্ট করা থাকলে তো সাধারণ মানুষ দেখতে পারবে না?

উত্তর: (private) সিলেক্ট করার কারণ হলো এখনো কিছু ইনফরমেশন দেওয়ার বাকি রয়েছে, তাই আমরা (set visibility) অপশন থেকে (private) সিলেক্ট করেছিলাম।

ভিডিওটি আপলোড হয়ে গেলে, বাকি ইনফরমেশন গুলো দেওয়ার জন্য ভিডিওটির ডানদিকে (three dot menu) একটি অপশন দেখতে পারবেন, সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ক্লিক করলে আপনাদের সামনে কিছু অপশন চলে আসবে, সেই অপশন থেকে আপনাদেরকে (edit) অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

(edit) অপশনটিতে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনাদের সামনে আগের মতই একটি ইন্টারফেস শো করবে। সেই অপশন থেকে (more options) নামক অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

(More options) নামক অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনাদের সামনে এই রকম আর একটি ইন্টারফেস শো করবে।

এই ইন্টারফেসে আসার পর আপনারা প্রথমেই (add tags) নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন, সেই অপশনে আপনাদেরকে (tags) লিখতে হবে।

Correct rules for uploading videos for YouTube

আপনারা হয়তো অনেকেই বুঝবেন না, যে (tags) কি? উত্তর: (Tags) হলো আপনাদের ভিডিও রিলেটেড ছোট ছোট কিছু কিওয়ার্ড লিখতে হবে।

আর সেই কিওয়ার্ড লেখার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কিওয়ার্ড লিখতে হবে।

তাই আপনারা যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি দেখে জানতে পারেন, কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়।

অযথা বেশি বেশি (tags) বসার কোন কারণ নেই, ভিডিও রিলেটেড ৪/৫ টি কিওয়ার্ড বসালেই হয়ে যাবে। (Tags) বসানোর পর একটু নিচের দিকে (category) নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন।

(category) অপশনে ক্লিক করলে আপনার চ্যানেলটি কোন রিলেটেড সেই অপশনটি প্রথমেই পেয়ে যাবেন।

আপনার ভিডিওটি যদি চ্যানেল রিলেটেড না হয়ে অন্য রিলেটেড হয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে সেই রিলেটেড (category) সিলেক্ট করে নিবেন।

এরপর ব্যাকে চলে আসবেন, আসার পর আবার সেই (visibility) অপশন থেকে private এর পরিবর্তে public সিলেক্ট করে দিবেন।

সিলেক্ট করার পর ডান পাশ থেকে উপরের দিকে (save) অপশনটিতে ক্লিক করে দেবেন, ক্লিক করে দেওয়ার সাথে সাথেই আপনাদের ভিডিওটি মোবাইলের মাধ্যমে সঠিক নিয়মে ইউটিউবে আপলোড করা হয়ে যাবে।

আশা করছি এই আর্টিকেলটির সাহায্যে মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবুও আপনাদের যদি বুঝতে কোন সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখে সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন।

চলুন জেনে নেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাদের ভিডিওগুলোতে (corporate claim) আসতে পারে।

ভিডিওতে টাইটেল দেওয়ার সঠিক নিয়ম

ভিডিওতে টাইটেল দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে দুইটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যেমন :

  1. ভিডিওটি যে বিষয়ের উপর তৈরি করা হয়েছে সেই রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  2. টাইটেল লেখার সময় টাইটেল বেশি বড় করা যাবে না।

ভিডিওটি যে বিষয়ের উপর তৈরি করা হয়েছে সেই বিষয়ে রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার না করে যদি আপনারা অন্য কিবোর্ড ব্যবহার করেন, তাহলে আপনারা বেশি (watching) পাবেন না।

কারন: একজন ভিউয়ার্স টাইটেল দেখে ভিডিওতে ক্লিক করে, আর সেই টাইটেল এবং ভিডিওর যদি মিল না পায় তাহলে সেই ভিউয়ার্স ভিডিওটি (skip) করতে বাধ্য হয়।

টাইটেল লেখার সময় টাইটেল বেশি বড় করা যাবে না, এর কারণ হলো সাধারণত একজন ভিউয়ার্স এর অনেকগুলো লেখা পড়ার সময় থাকে না।

তাই ভিডিওতে ভিউয়ার্স আনার জন্য টাইটেল এর গুরুত্ব অনেক বেশি, আপনারা টাইটেলে এমন কিছু কথা লিখবেন যেগুলো ভিডিও রিলেটেড হয় এবং অল্প কয়েকটি শব্দ দ্বারা সাধারণ ভিউয়ার্স কে বোঝানো সম্ভব হয়।

টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে আপনারা বাংলা ইংরেজি দুটোই ব্যবহার করতে পারেন এবং চাইলে শুধু বাংলা অথবা শুধু ইংরেজিও ব্যবহার করতে পারেন।

মনে রাখবেন অন্যের টাইটেলে মিল রেখে টাইটেল ব্যবহার করা যাবে না, আপনার টাইটেল অন্য আরেকজনের টাইটেলের সাথে হুবহু মিলে গেলেই আপনার ভিডিওতে (copyright claim) আসতে পারে।

তাই সব সময়ই টাইটেল আপনার ভিডিও রিলেটেড এবং সম্পূর্ণ একটি ইউনিক টাইটেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

উপসংহার

আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে, আশা করছি আপনারা সকলেই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে পারেন, এবং আর্টিকেলে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।

আপনাদের সমস্যার সমাধান দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *